পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন

Modern Inter Link  » Services »  পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন
0 Comments

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন মাত্র ৩০০/- (তিনশত) টাকায়।
এখানে বিদেশগামীদের পাসপোর্ট এর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদনের জন্য যা করণীয়ঃ

১। পাসপোর্ট এর মূল কপি বা কালার ফটোকপি।
২। এক (০১) কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৩। জাতীয় পরিচয় পত্রের  মূল কপি বা ফটোকপি
৪। ইউনিয়ন বা পৌরসভা কর্তৃক চারিত্রিক/নাগরিকত্ব সনদ এর মূল কপি।
৫। ৫০০/- (পাঁচশত) টাকার ব্যাংক ড্রাফট কর্তৃক চালান কপি।

বিঃদ্রঃ এখানে অনলাইনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ব্যাংক ড্রাফট করে চালান কপি সংগ্রহ করা যায়, তাই ব্যাংকে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
এবং
আবেদনে সরকারি চার্জ এর সথে অনলাইন চার্জ ৩০০/- টাকা যুক্ত হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কেন ?নিবেন কিভাবে? কি কি লাগবে নিতে? অনলাইনে নেওয়ার পদ্ধতি ও আবেদন ফরমের নমুনাঃ

বিদেশে যাওয়া বা বিদেশে চাকুরির ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়।
পুলিশ ক্লিয়রেন্স সার্টিফিকেট এর অর্থ হচ্ছে, যাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়া হচ্ছে তিনি কোন অপরাধী নন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগও নেই।

▶ঢাকার বাসিন্দাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হলে রমনায় অবস্থিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদরদপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে।
➡সকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ইংরেজী ভাষায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে সত্যায়িত করে দেয়া হয়।
যোগাযোগ:
‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়ান ষ্টপ সার্ভিস’, রুম-১০৯,
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়াটার্স,
৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণী, রমনা, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ- ০১১৯১০০৬৬৪৪, ০২-৭১২৪০০০, ৯৯৯-২৬৩৫

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেবার পদ্ধতি:
➡একটি সাদা কাগজে বাংলা বা ইংরেজীতে পুলিশ কমিশনার মহোদয় বরাবর আবেদন করতে হয়, সাথে ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপি দিতে হয়।
➡পাসপোর্টের যে সকল পৃষ্ঠায় প্রার্থী সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে যে সকল পৃষ্ঠা এবং যদি নবায়ন করা হয়ে থাকে তবে নাবায়নের পৃষ্ঠাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি দাখিল করতে হয়।
➡কর্তৃপক্ষ চাইলে মূল পাসপোর্টও প্রদর্শন করতে হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ পাসপোর্ট গৃহীত হয় না।

ঠিকানা সংক্রান্ত নিয়মাবলী:

➡পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ঠিকানার যে কোন একটি অবশ্যই ঢাকা মহানগর এলাকার অভ্যন্তরে হতে হবে এবং অবশ্যই ঐ ঠিকানায় বসবাস করতে হবে।
➡যদি পাসপোর্টে উল্লেখিত স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা অথবা “থানা এলাকার” পরিবর্তন হয় তবে নিকটস্থ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিকানা সংশোধন করে পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি দাখিল করতে হবে।
➡প্রার্থীর দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয় পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ/স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর সনদপত্রে উল্লেখিত ঠিকানার সাথে প্রার্থীর বর্তমান বসবাসের ঠিকানার মিল থাকা জরুরি।

▶যারা বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য যে দেশে অবস্থান করছেন সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের ফটোকপিসহ তার পক্ষে আত্মীয়/অনুমোদিত ব্যক্তি আবেদন পত্র দাখিল করতে পারেন।

▶পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানা যদি ঢাকা মহানগরীর বাইরে হয় তবে ঠিকানাটি যে জেলার অন্তর্গত সেই জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়।

সাথে যা যা প্রয়োজন:

➡বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোন শাখায় কোড নম্বর- (১-২২০১-০০০১-২৬৮১) এর অনুকূলে ৫০০ (পাঁচশত) টাকা মূল্যমানের ট্রেজারী চালানের মূলকপি।
➡ ব্যাংক চালানের কোড নম্বর এর ঘরে কোন প্রকার ঘষামাজা / ফ্লুইড ব্যবহার করা যাবে না এবং সঠিকভাবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সিল দেয়া হল কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
➡মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এম.আর.পি) ক্ষেত্রে যদি পাসপোর্টে ঠিকানা উল্লেখ না থাকে তবে ঠিকানার প্রমাণ স্বরুপ জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন সনদ/ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদত্ত সনদপত্রের ফটোকপি ১ম শ্রেণীর সরকারী গেজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে দাখিল করতে হয়।
➡শুধুমাত্র “স্পেন” সংক্রান্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে তার আবেদনসহ উপরে উল্লেখিত কাগজপত্রের সাথে ০৩ (তিন) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে “সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়” বরাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগমন শাখা ০৩ এ দাখিল করতে হয়।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেয়া:
➡আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর অফিস থেকে প্রাথমিকভাবে সিরিয়াল নম্বরসহ একটি টোকেন দেয়া হয়।
➡ টোকেনে একটি তারিখ উল্লেখ করা হয়।
➡ উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট থানায় টোকেনটি জমা দিতে হয়।
➡এরপর থানার তরফ থেকে একটি তদন্তর্কায সম্পন্ন করা হয়।
➡এই তদন্তের সাত (৭) কর্মদিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেয়া হয়।
▶বাংলাদেশে বসবাসরত/কর্মরত বিদেশী নাগরিক/বিদেশী পাসপোর্টধারী ব্যক্তিগণ উপরোক্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নিজে
অথবা
অনুমোদিত ব্যক্তি দ্বারা আবেদনপত্র দাখিল করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন।

পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট আবেদনের নমুনা-

বরাবর,
পুলিশ কমিশনার/ওসি(ঢাকার বাহির হলে)
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
ঢাকা।
বিষয়ঃ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য আবেদন।

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী এই মর্মে আবেদন করছি যে, আমি/ আমার……………………………………….বিদেশ যাওয়া/ স্থায়ীভাবে বসবাস করা/ ……………………………………………………………………………….. জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন। আমার…………………………………………………………………… পাসপোর্ট অনুযায়ী বৃত্তান্ত নিম্নরুপঃ-
নাম……………………………………………………………………………………..
পিতা/ স্বামী…………………………………………………………………………….
ঠিকানা…………………………………………………………………………
…………………………………………………………………………………
পাসপোর্ট নম্বর ……………………..ইস্যুর তারিখ ………………………………..
স্থান ………………………………………………….
অতএব, মহোদয়ের নিকট আবেদন, আমি যাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে পারি তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
তারিখ………………..
………………………….
ফোন………………………

▶পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সেবা প্রদান পদ্ধতি (সংক্ষেপে):

সেবা প্রাপ্তির সময় (সাধারণত):
০৫-০৭ দিন


প্রয়োজনীয় ফি:

৫০০ টাকা ৫০০ টাকা

সেবা প্রাপ্তির স্থান
থানা / পুলিশ সুপার অফিস

দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী:

১। ওসি ২। এসপি

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

আবেদনপত্র, টাকা জমাদানের রসিদ পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি , জাতীয়তা / নাগরিকত্ব সনদের সত্যায়িত কপি

সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি:

ডিএসবি নির্দেশিকা
সেবা প্রদানে ব্যর্থ হলে প্রতিকারকারী কর্মকর্তা:
থানার ক্ষেত্রে সার্কেল এএসপি, এস পি অফিসের ক্ষেত্রে ডিআইজি।

অনলাইনে পাওয়ার ক্ষেত্রে

আবেদনের নিয়মাবলী
ধাপ : ১
অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ নিজের জন্য অথবা অন্যের পক্ষে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে পারবে। নিবন্ধন করার জন্য Click This Link তে ক্লিক করুন।

ধাপ : ২
নিবন্ধিত ব্যবহারকারী অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সাইটে লগ-ইন করার পর Apply মেনুতে ক্লিক করে আবেদনপত্রটি যথাযথভাবে পূরণ করুন।

ধাপ : ৩
আবেদন ফরমের প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত বিস্তারিত তথ্য, দ্বিতীয় ধাপে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করুন। আপনার বর্তমান ঠিকানা যে জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত সেই ঠিকানায় পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে।

ধাপ : ৪
আবেদন ফরমের তৃতীয় ধাপে প্রয়োজনীয় ডকুমেণ্টসমূহের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
ধাপ : ৫
আবেদন ফরমের চতুর্থ ধাপে আপনার এন্ট্রিকৃত সকল তথ্য দেখানো হবে। আবেদনে কোন ভুল থাকলে তা পূর্ববর্তী ধাপসমূহে ফেরত গিয়ে পরিবর্তন করা যাবে। তবে চতুর্থ ধাপে আবেদনটি সাবমিট করার পর আর কোন পরিবর্তন করার সুযোগ থাকবে না।

ধাপ : ৬
আবেদন ফরমের পঞ্চম ধাপে ফি পরিশোধ করার জন্য Pay Offline বাটনে ক্লিক করুন। চালানের মাধ্যেমে ফি পরিশোধের উপায় এবং পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

ধাপ : ৭
চালানের মূল কপিটি আপলোড করার পূর্বে অবশ্যই এর উপর এপ্লিকেশন রেফারেন্স নম্বরটি লিখে দিন। অন্যথায় আপনার পেমেন্টটি গ্রহণযোগ্য হবেনা এবং আবেদনটি বাতিল বলে গন্য হবে।

 


Leave a Reply

Your email address will not be published.